পরীক্ষার্থী এবং জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি শুক্রবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রতি এ আহবান জানান। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট আজ থেকে শুরু হয়েছে। সকাল থেকে সড়কে কোনো বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক দেখা যাচ্ছে না। এতে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারীরা।
আগামী ৭ নভেম্বর (রোববার) বিআরটিএর ভাড়া পুনঃনির্ধারন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ বলেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের উপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোলভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণীবিন্যাস এবং টোলহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল, দীর্ঘ ১০ বছর পর এই সেতুর টোলহার বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হবার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হয়েছে। সেতুমন্ত্রী বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিক হারে টোলহার বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।